প্রকাশ :
২৪খবরবিডি: 'স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, আন্দোলনের নামে কেউ হামলা-ভাঙচুর ও বোমাবাজি করে জনজীবন অতিষ্ঠ করার চেষ্টা করলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। আন্দোলন গণতান্ত্রিক অধিকার।'
-মো. তাজুল ইসলাম জানান, রাশিয়া-ইউক্রেন য
ুদ্ধের প্রভাবে সারা বিশ্বের মানুষ কষ্টে আছে। আমাদের দেশের মানুষের উপরেও প্রভাব পড়েছে। করোনা সংকটের পর ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের কারণে পৃথিবীতে অস্থিরতা বিরাজ করছে। জ্বালানির দাম বৃদ্ধি করা হয়েছে আসন্ন মহাসংকট মোকাবেলা করার জন্য। এটা সাময়িক। এই সংকট মোকাবেলায় সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, জ্বালানির মূল্য বৃদ্ধির ফলে ইউকে'তে এক-তৃতীয়াংশ মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে নেমে আসবে বলে গণমাধ্যমে প্রচার করা হচ্ছে। আরও অনেক দেশে সংকট তৈরি হচ্ছে। আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডল ও অন্যান্য দেশের পরিবেশ পরিস্থিতি বিচার-বিশ্লেষণ করলে একথা অস্বীকার করা যাবে না যে আমরা ভালো আছি। প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনা সব সময় মানুষের কল্যাণ চান। তিনি যখন যে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন সেটা অবশ্যই জনকল্যাণমূলক। জনগণের কল্যাণের কথা চিন্তা করেই শেখ হাসিনা সিদ্ধান্ত নেন বলেও জানান তিনি।
'স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, শেখ হাসিনা প্রথম ক্ষমতায় এসে বিদ্যুৎ উৎপাদন সহ অন্যান্য সকল খাতে উন্নয়নের যে অগ্রযাত্রা শুরু করেছিলেন ২০০১ সালে ষড়যন্ত্র করে বিএনপি-জামায়াত জোট ক্ষমতায় আসার পর তা বন্ধ করে দেয়। ২০০৯ সালে পুনরায় ক্ষমতায় এসে বঙ্গবন্ধু আদর্শ বুকে ধারণ করে দেশ পরিচালনা করছেন। মো. তাজুল ইসলাম আরও বলেন, অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড অব্যাহত রাখতে হলে শিল্প-কলকারখানা প্রয়োজন। এর জন্য দরকার বিদ্যুৎ।
দেশে আন্দোলনের নামে জনজীবন অতিষ্ঠ করলে কঠোর ব্যবস্থা : স্থানীয় সরকার মন্ত্রী
শেখ হাসিনার সরকার দেশের ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দিয়েছে। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষি ও যোগাযোগ ব্যবস্থায় অভূতপূর্ব পরিবর্তন এসেছে। এসব অর্জন একটি গোষ্ঠীর ভালো লাগে না। যারা স্বাধীনতার বিরোধিতা করেছে, যারা দেশের উন্নয়ন চায় না, দেশকে ধ্বংস করতে চায় তাদের পক্ষে কথা বললে তারা খুশি হয়। সীমাবদ্ধতা থাকবে এর মধ্যেও স্বপ্ন পূরণে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকবে থাকতে হবে।'
-উপজেলা পরিষদ এসোসিয়েশনের সভাপতি হারুন-অর-রশিদ হাওলাদারের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম খান বীরুর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক ডা. রেবেকা সুলতানা এবং দেশের অধিকাংশ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এবং ভাইস চেয়ারম্যানরা উপস্থিত ছিলেন।